Notifikasi
  • ফজরের আজান শুরু হয়েছে, এমতাবস্থায় আপনার হাতে সেহরির খাবার; এখন কী করবেন?
    ফজরের আজান শুরু হলে সেহরির খাবার নিয়ে করণীয় body { font-family: 'Segoe UI', Tahoma, Geneva, Verdana, sans-serif; line-height: 1.8; margin: 20px; background-color: #f9f9f9; color: #333; } h1, h2, h3, h4 { color: #2c3e50; margin-top: 30px; } h1 { text-align: center; font-size: 2.5em; margin-bottom: 20px; } …
  • অর্থসহ ছেলে শিশুদের সুন্দর ইসলামিক নাম
    ছেলেদের জন্য ১০০টি ইসলামি নাম body { font-family: 'Segoe UI', Tahoma, Geneva, Verdana, sans-serif; line-height: 1.6; margin: 20px; background-color: #f9f9f9; color: #333; } h2, h3, h4 { color: #2c3e50; } h2 { text-align: center; margin-bottom: 20px; } h3 { margin-top: 30px; border-bottom: 2px solid…
  • যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) হিসেবে টাকা দেওয়া সুন্নত না কি খাদ্যদ্রব্য?
    সুন্নত পালনার্থে খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফিতরা দিন; টাকা দিয়ে নয়▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬প্রশ্ন: যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) হিসেবে টাকা দেওয়া সুন্নত না কি খাদ্যদ্রব্য?উত্তর: হাদিসে ফিতরা হিসেবে খাদ্যদ্রব্য প্রদানের কথাই বর্ণিত হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে দিনার-দিরহামের প্রচলন ছিল কিন্তু তারা কখনো খাদ্যদ্রব্য ছাড়া দিনার-দিরহাম বা অন্য কিছু দ্বারা ফিতরা প্রদান করেছেন বলে কোন তথ্য পাওয়া যায় না।কী কী জিনিস দ্বারা এবং কত পরিমাণ ফিতরা দেওয়া সুন্নত?এর উত্তর সহীহ হাদিসে স্পষ্ট বর্ণিত হয়েছে যার,…
  • ভিড়ের সময় হাতিমে কা’বা বা মাকামে ইবরাহীমের পেছনে সালাত আদায়ের বিধান
     প্রশ্ন: ভিড়ের সময় হাতিমের ভিতর বা মাকামে ইবরাহীমের পেছনে সালাত আদায়ের সময় তো সামনে দিয়ে লোকজন চলাচল করে বা দাঁড়ানো থাকে। সুতরাং যদি কেউ নামাযির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে পাহারা দেয় বা চলাচলকারীদেরকে নামাযীর সামনে দিয়ে যেতে বাধা দেয় তাহলে কি কোনো সমস্যা আছে? আর তাতে কি সে নামায শুদ্ধ হবে? কারণ সালাতের সামনে সুতরা দিতে হয়। কিন্তু সেখানে সুতরার ব্যবস্থা নাই।উত্তর:হাতিম কা’বার ভেতর অথবা অথবা মাকামে ইবরাহীমের নিকট অথবা কাবা প্রাঙ্গণের অন্য কোথাও তওয়াফ কারীদের প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা…
  • দরিদ্র ভাইকে সাহায্য-সহযোগিতা না করলে কি হজ্জ-উমরা, দান-সদকা ইত্যাদি ইবাদত কবুল হয় না
     প্রশ্ন: এক ভায়ের সম্পদের উপর আরেক ভায়ের কতটুকু হক রাখে? যদি কোনো ভাই তার অসুস্থ দরিদ্র ভাইকে সাহায্য সহযোগিতা না করে হজ-উমরা পালন করে, এমন জায়গায় দান-সদকা করে যেখানে লোকেরা তাকে চিনবে অথচ তার আপন ভাই-বোনদের খোঁজ-খবর নেয়া বা তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার মনে করে না। এসব লোকদের হজ্জ-উমরা ও দান-সদকা কি কবুল হবে?উত্তর:এক মুসলিমের উপরে আরেক মুসলিমের কিছু অবশ্য পালনীয় কর্তব্য রয়েছে। যেগুলোকে বলা হয় পারস্পরিক “হক বা অধিকার।” সেগুলো হল পাঁচটি:▪১) সালামের উত্তর দেওয়া▪২) রোগীর…
  • কাবা ঘরের চারপাশে তওয়াফ করা এবং সাঈ করার সময় বিশেষ কোন দুআ বর্ণিত হয়েছে কি?
     উত্তর:কাবা ঘরের তওয়াফ করার সময়, কেবল রোকনে ইয়ামেনী এবং হাজরে আসওয়াদ এর মাঝামাঝি স্থানে এ দুআটি পড়া হাদিস সম্মত:رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِউচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল আখিরাতে হাসাতাওঁ ওয়া কিনা আযাবান্নার। “হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদেরকে রক্ষা করো জাহান্নামের আগুন থেকে।” (সূরা বাকারা: ২০১)এ ছাড়া অন্য চক্করে বিশেষ কোনো দুআ…
  • সহজ উমরা নির্দেশিকা
    সহজ উমরা নির্দেশিকাসংকলনঃ মুহা: আবদুল্লাহ্‌ আল কাফীদাঈ, জুবাইল দাওয়া এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সঊদী আরব।▬▬▬✪✪✪▬▬▬بسم الله الرحمن الرحيمওমরাহ্‌ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা আত্মিক, মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ত্যাগ সমম্বয়ে গঠিত। প্রতিটি সামর্থবান ব্যক্তির উপর উহা পালন করা অবশ্যকর্তব্য। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: এক ওমরা থেকে অপর ওমরা উভয়ের মধ্যবর্তী পাপের কাফ্‌ফারা স্বরূপ। (বুখারী ও মুসলিম)তিনি আরো বলেন: যে ব্যক্তি (হজ্জ ওমরা করার জন্য) এঘরে আসবে, অত:পর স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত…
  • মসজিদে হারামে মহিলাদের ইতিকাফ এবং ইহরাম
     প্রশ্ন: কাবা মসজিদে মহিলারা ইতিকাফ করতে পারবে কি? ইহরাম অবস্থায় মহিলাদের পোশাক কী হবে? ইহরাম অবস্থায় মহিলারা মাথায় ক্যাপ পরে এরপর নিকাব বাঁধতে পারবে কি ?উত্তর:✪ অধিক বিশুদ্ধ মতানুসারে মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা শর্ত। মসজিদ ছাড়া বাড়িতে এতেকাফ শুদ্ধ নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়ুন:https://goo.gl/kTThgwহারামাইন তথা মক্কা ও মদিনার মসজিদে মহিলাদের জন্য আলাদা ইতিকাফের ব্যবস্থা রয়েছে।মদিনার মসজিদে নব্বীর একপাশে এবং মক্কায় মসজিদে হারামের আন্ডারগ্রাউন্ডে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক এতেকাফ এর…
  • মৃত ব্যক্তির নামে কি উমরা করা যাবে
     প্রশ্ন : মৃত ব্যক্তির নামে কি উমরা করা যাবে? অনেকে উমরা বা হজ শেষে মৃত বা জীবিত ব্যক্তিদের পক্ষে তাওয়ার করে এটা কি ঠিক ?উত্তর:■ কারো পক্ষ থেকে -চাই সে জীবিত হোক বা মৃত হোক- তওয়াফ করা বৈধ নয়। কেননা, এর বৈধতার পক্ষে কোন দলিল নাই।■ তবে যে কেউ নিজের জন্য যত খুশি তওয়াফ করবে এবং তওয়াফের সময় বা তওয়াফের পরে যে কারো জন্য যখন খুশি দোয়া করা করতে পারে।■ মৃত মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন বা যে কোন মুসলিমের পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ বা উমরা আদায় করা জায়েজ রয়েছে। তবে শর্ত হল, যে ব্যক্তি বদলি আদায় করবে তাকে…
  • মাহরাম পুরুষ ছাড়া মহিলাদের উমরা সফর, উমরা সফরে স্ত্রী সহবাস এবং ঋতুস্রাব হলে করণীয়
    প্রশ্ন:ক. আমরা যারা সৌদি আরবি কর্মরত আছি তাদের মাঝে কেউ যদি তার স্ত্রীকে উমরা পালনের উদ্দেশ্যে ১৫/১৬ দিনের জন্য নিয়ে আসে তাহলে আসার পরে তারা স্বামী-স্ত্রী কি সহবাস করতে পারবে? বা কখন করতে পারবে কখন পারবে না?খ. এই উমরা চলাকালীন সময়ে যদি উক্ত স্ত্রীর হায়েয হয় তাহলে করণীয় কি?উত্তর:▪ উমরার জন্য ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। এর আগে বা পারে যে কোন সময় স্ত্রী সহবাস করা বৈধ।▪উমরা চলাকালীন সময় কোন মহিলার ঋতুস্রাব হলে কেবল কাবা ঘরের তওয়াফ ও তওয়াফ শেষ দু রাকআত সালাত ছাড়া উমরার অন্যান্য সকল কাজ করা…

ফজরের আজান শুরু হয়েছে, এমতাবস্থায় আপনার হাতে সেহরির খাবার; এখন কী করবেন?

ফজরের আজান শুরু হলে সেহরির খাবার নিয়ে করণীয়

ফজরের আজান শুরু হলে সেহরির খাবার নিয়ে করণীয়

প্রাবন্ধিক: ফাদ্বীলাতুশ শাইখ ‘আব্দুল ক্বাদির বিন মুহাম্মাদ আল-জুনাইদ (হাফিযাহুল্লাহ)

আরম্ভ করছি তাঁর নামে, যিনি পরম অনুগ্রহকারী ও করুণাময়। সমুদয় স্তুতি তাঁর জন্য নিবেদিত, যিনি বিশ্বজগতের মহান প্রতিপালক। শত-সহস্র দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর ওপর, যিনি সমগ্র জাহানের জন্য অনুকম্পাস্বরূপ প্রেরিত দূত, আলোকবর্তিকা ও দিশারী। অতঃপর:

অনুবাদকের নিবেদন

ফতোয়াটি পড়েছিলাম একটি বহুল প্রচলিত মাসিক পত্রিকায়। রীতিমতো আমলও করতাম সেই ফতোয়া অনুযায়ী। কমসেকম বছর সাতেক তো হবেই, এর ওপর আমল করেছি। অবশ্য পরবর্তী যুগের কতিপয় ‘উলামার ফতোয়াও পেয়েছিলাম ওই ফতোয়ার স্বপক্ষে। কথা বলছি এই ফতোয়ার ব্যাপারে যে, সেহরিরত অবস্থায় আজান হয়ে গেলেও প্লেটের খাবার শেষ করা জায়েজ। প্রমাণস্বরূপ সুনানে আবূ দাঊদের একটি প্রসিদ্ধ হাদীস পেশ করা হয়, যেখানে এই হুকুম গ্রহণের সিদ্ধতা বিবৃত হয়েছে।

বছর দুয়েক আগে ব্যাপারটা নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে মুশকিলে পড়লাম। সাহাব ডট নেটের এক আর্টিকেলে মোটামুটি এই টাইপের কথা পড়েছিলাম যে, মক্কার এক 'আলিমকে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘সেহরিরত অবস্থায় আজান হয়ে যাওয়ার পরেও আমি কিছু আহার্য বা পানীয় গ্রহণ করেছি, এতে কি আমার রোজা ভেঙে যাবে?’ তিনি উত্তরে বলেছেন, ‘ওই রোজা নষ্ট হয়ে গেছে, পরে রোজার কাজা আদায় করতে হবে।’

সে সময় কিংবা তারও পরে আমি আলোচ্য বিষয়ে ফাদ্বীলাতুশ শাইখ ‘আব্দুল ক্বাদির আল-জুনাইদ (হাফিযাহুল্লাহ)’র একটি নিবন্ধ পেয়ে যাই। নিবন্ধের আলোচনা আমাকে অভিভূত করে। ফলে আমি এ ব্যাপারে পোষণকৃত আমার পূর্বের ধারণাটি পরিবর্তন করি। আরবি নিবন্ধটির যে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, তা অনুবাদ করলে এরকম দাঁড়ায়—“আপনার হাতে খাদ্য বা পানীয় রয়েছে, এমতাবস্থায় মুয়াজ্জিন যদি ফজর উদয় হওয়ার আজান দেয়, তথাপি আপনি পানাহার চালিয়ে যান, তাহলে চার মাযহাবের ‘উলামা এবং যাহিরী ও অন্যান্য বিদ্বানদের অধিকাংশের নিকট আপনার রোজা বাতিল হিসেবে পরিগণিত হবে।”

মূল নিবন্ধের বঙ্গানুবাদ

জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। দয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের সত্যভাষী বিশস্ত নাবী মুহাম্মাদের প্রতি এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সকল সাহাবীর প্রতি। অতঃপর:

হে সম্মাননীয় মহৎ ব্যক্তিবর্গ, আল্লাহ আপনাদের সঠিক পথে রাখুন এবং আপনাদের ‘ইলম ও আমল বৃদ্ধি করুন। নিশ্চয় রোজার নিয়তকারী ব্যক্তির পানাহারের প্রান্তসীমা তখন উপনীত হয়, যখন মুয়াজ্জিন ফজর উদয়ের আজান আরম্ভ করে। যে ব্যক্তি রোজার নিয়ত করেছে, সে যখন মুয়াজ্জিনের উক্ত আজান শোনে, তখন পানাহার থেকে বিরত হওয়া এবং মুখগহ্বরে স্থিত আহার্য ও পানীয় মুখ থেকে ফেলে দেওয়া তার জন্য আবশ্যক (ওয়াজিব)। নচেৎ তার রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। এটা চার মাযহাবের ‘উলামা এবং যাহিরী ও অন্যান্য বিদ্বানদের অধিকাংশের অভিমত।

ভিন্ন মতাবলম্বীদের দলিলের পর্যালোচনা

পক্ষান্তরে একটি হাদীস রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, إِذَا سَمِعَ أَحَدُكُمُ النِّدَاءَ وَالإِنَاءُ عَلَى يَدِهِ فَلاَ يَضَعْهُ حَتَّى يَقْضِىَ حَاجَتَهُ مِنْهُ “তোমাদের কেউ যখন আজান শোনে, এমতাবস্থায় তার হাতে রয়েছে পানপাত্র, তখন সে যেন ওই পাত্র থেকে নিজের প্রয়োজন সম্পূর্ণ না করার আগে তা রেখে না দেয়।”

এই হাদীস দুই দিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ। যথা:

  1. সনদের দিক থেকে। কেননা হাম্মাদ বিন সালামাহ (রাহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক হাদীসটির মাওকূফ, মারফূ‘, মুরসাল ও মাক্বতূ‘ বর্ণনায় মতভেদ রয়েছে।
  2. মতন বা মূল টেক্সটের দিক থেকে (হাদীসটি ত্রুটিপূর্ণ)। কেননা উক্ত হাদীস সূরাহ বাক্বারাহর সুস্পষ্ট আয়াতের বিরোধী এবং তার চেয়ে বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ হাদীসসমূহের পরিপন্থি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য

আমি পূর্বে বলেছি, ‘আমি এই পর্যন্ত প্রাক-পূর্ববর্তী আইম্মায়ে হাদীসের কোনো একজনেরও বক্তব্য পাইনি, উক্ত হাদীসকে বিশুদ্ধ আখ্যানের ব্যাপারে।’ আবূ ‘আব্দুল্লাহ হাকিম (রাহিমাহুল্লাহ) তদীয় ‘মুস্তাদরাক’ গ্রন্থে হাদীসটিকে সহিহ বলার দরুন আমার পূর্বোক্ত কথার ব্যাপারে যেন আপত্তি তোলা না হয়। তাই আমি বলছি, এটা এমন একজনের পক্ষ থেকে সহিহ সাব্যস্তকরণ, যিনি হলেন পরবর্তী মুহাদ্দিস এবং সহিহ বলার ক্ষেত্রে শৈথিল্যবাদী।

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল সকল প্রশ্নোত্তর
Join the conversation
Post a Comment
আপনার কমেন্ট রিভিউ করে দেখা হবে! প্রয়োজনে Salafweb কর্তৃপক্ষ আপনার কমেন্ট রিমুভ করার অধিকার রাখে।