লাইলাতুল কদরে দোয়া করার ব্যাপারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কীকরণ
আলজেরিয়ার সালাফি দাওয়াতের ইমাম আল্লামা আব্দুল হামিদ মুহাম্মাদ ইবনু বাদিস আস-সানাহিজি রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ১৩৫৯ হি.) বলেছেন—
❝লাইলাতুল কদর দুনিয়ার জন্য নয়, বরং দিন পালনের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। সাধারণ মানুষদের অনেকেরই আকাঙ্ক্ষা— দুনিয়াবি বিষয় চেয়ে নেওয়ার জন্য সে যদি লাইলাতুল কদর পেত! যার মনে এমন কুচিন্তা এসেছে, সে যেন আল্লাহর কাছে তওবা করে। কেননা মহান আল্লাহ তাঁর মহিমান্বিত কিতাবে বলেছেন,
مَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الْآخِرَةِ نَزِدْ لَهُ فِي حَرْثِهِ ۖ وَمَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ نَصِيبٍ
“যে ব্যক্তিই আখেরাতের প্রতিদান কামনা করে, তার জন্য আমি তার ফসল বর্ধিত করে দিই। আর যে ব্যক্তিই দুনিয়ার প্রতিদান কামনা করে, আমি তাকে সেটারই কিছু অংশ দিই; কিন্তু আখেরাতে তার জন্য কিছুই থাকবে না।” [আল-কুরআন, ৪২ (সুরা শুআরা) : ২০]
দুনিয়াবি বিষয়ের যেসব মাধ্যম মহান আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন, সেসব মাধ্যমযোগে কেউ দুনিয়া চাইলে আমরা তাকে তিরস্কার করি না। বরং আমরা কেবল তাকেই তিরস্কার করি, পরকাল ব্যতিরেকে দুনিয়াই যার প্রধান লক্ষ্য হয়ে গেছে। এমনকি সে লাইলাতুল কদরের জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করতে থাকে, যেন সেই রজনীতে সে পরকাল থেকে গাফেল থেকে দুনিয়া চেয়ে নিতে পারে। এরপর যে ব্যক্তি পার্থিব ধনদৌলত পেয়েছে, কিন্তু কোন মাধ্যমের দরুন পেয়েছে সেটা ‘শবেকদরে দুনিয়াকামনার প্রতীক্ষায় রত থাকা’ ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট না হওয়ায় সে মনে করে, এসব ধনদৌলত নিশ্চয় লাইলাতুল কদরে প্রার্থনার কারণে অর্জিত হয়েছে!❞
উৎস : আব্দুল হামিদ মুহাম্মাদ ইবনু বাদিস আস-সানাহিজি, আসারু ইবনি বাদিস, তাহকিক : আম্মার তালিবি (আলজেরিয়া : দারু ওয়া মাকতাবাতুশ শারিকাতিল জাজায়িরিয়্যা, ১ম প্রকাশ, ১৩৮৮ হি./১৯৬৮ খ্রি.), খ. ২, পৃ. ৩২৯।
অনুবাদক: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
fb.com/SunniSalafiAthari